শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের জয়!

Reading Time: 3 minutes

স্পোর্টস ডেক্স :
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ৩-১ ব্যবধানে। এই সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে ছিল না একটি জয়ও। সিরিজ জয়ও তাই স্বাভাবিকভাবেই এটিই প্রথম। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টির চতুর্থটিতে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় টাইগাররা।
এর আগে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে কিউইরা জিতেছিল। এনিয়ে টানা ৩টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঘরে তুললো বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে সফরে জিতে আসার পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করেছিল স্বাগতিকরা।

এদিন ম্যাচে জয়ে নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ের পর, ব্যাটিংয়ে অসাধারণ করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
এজাজ প্যাটেলের বলে সুবর্ণ সুযোগটি যখন নিতে পারলেন না ল্যাথাম, বাংলাদেশের জিততে প্রয়োজন তখনও ২০ রান। সেই মাহমুদউল্লাহই ১৯তম ওভারে একটি ছক্কা আর শেষ ওভারের প্রথম বলে চার মেরে নিশ্চিত করেন দলের জয়। ২৫ রানে জীবন পাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৪৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ও ৫ বল বাকি থাকতে ৯৬ করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৯৩ রানেই। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নেন ১০ রানে ৪ উইকেট, মুস্তাফিজের ৪ উইকেট ১২ রানে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এক ইনিংসে দুই বোলারের ৪ উইকেট এবারই প্রথম।
দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেটে হয় এই ম্যাচ, যে উইকেটে বাংলাদেশের ১৪১ রান তাড়ায় নিউ জিল্যান্ড গিয়েছিল ১৩৭ পর্যন্ত। কিন্তু ব্যবহৃত উইকেট এ দিন হয়ে ওঠে আরও মন্থর। টার্ন ও অসমান বাউন্স ছিল নিয়মিত।
উইকেটের ধরন পরখ না করে প্রথম ওভারেই সুইপ করতে গিয়ে নাসুমকে উইকেট উপহার দেন রাচিন রবীন্দ্র। সিরিজে যেটি তার দ্বিতীয় শূন্য।
পরের উইকেটও বলা যায় উপহার। সাকিব আল হাসানকে দারুণ রিভার্স সুইপে বিশাল ছক্কায় তাক লাগানোর পর ফিন অ্যালেন টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। নাসুমকে উইকেট দিয়ে আসেন তিনি রিভার্স সুইপ খেলেই।
তবে দলের রান পঞ্চাশ ছাড়াতেই থমকে যায় এই জুটি। শেখ মেহেদি হাসানকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টায় ল্যাথাম স্টাম্পড হন ২১ রানে।
ইনিংসের বাকিটায় এক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান ইয়াং, আরেক প্রান্তে উইকেট ধরা দেয় নিয়মিত। নাসুম নিজের শেষ ওভারে দারুণ দুটি ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত করেন হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। শেষ দিকে মুস্তাফিজের কাটার ও দলের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে উইকেট ধরা দেয় একের পর এক।
নিজের বলে অসাধারণ এক ফিরতি ক্যাচে কোল ম্যাকনকিকে ফেরান মুস্তাফিজ। তার শেষ ওভারে ইয়াং বিদায় নেন ৪৮ বলে ৪৬ রান করে। নিউ জিল্যান্ডের শেষ ৭ ব্যাটসম্যানের একজনও ছুঁতে পারেননি ৫।
৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে নামা বাংলাদেশের হয়ে এদিনও ব্যর্থ হন ওপেনার লিটন দাশ। দলীয় তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ৬ রানে কোল ম্যাককোঞ্চির বলে বিদায় নেন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ।
কিন্তু মারমুখী খেলতে যাওয়া সাকিব ষষ্ঠ ওভারে আজাজ প্যাটেলের শিকার হন। ব্যক্তিগত ৮ রানে তিনি উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের কাছে স্টাম্পিং হন। একই ওভারের শেষ বলে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমেরও বিদায় হয়। বোল্ড হয়ে শূন্য রানে ফেরেন তিনি।৩৫ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে রান আউট হন নাঈম। এরপরই বেঁচে যান মাহমুদউল্লাহ। তিনি তখন আউট হলে, বাংলাদেশের ভাগ্যও যেত ঝুলে। শেষ পর্যন্ত দলের জয় সঙ্গে নিয়েই ফেরেন অধিনায়ক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ৯৬/৪ (নাঈম ২৯, লিটন ৬, সাকিব ৮, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৪৩*, আফিফ ৬*; বেনেট ৩-০-১৭-০, এজাজ ৪-০-৯-২, ম্যাকনকি ৩.১-০-৩৪-১, রবীন্দ্র ৪-০-৮-০, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩-০-১৩-০, টিকনার ২-০-১৩-০)।
নিউ জিল্যান্ড: ১৯.৩ ওভারে ৯৩ (রবীন্দ্র ০, অ্যালেন ১২, ল্যাথাম ২১, ইয়াং ৪৬, নিকোলস ১, ডি গ্র্যান্ডহোম ০, ব্লান্ডেল ৪, ম্যাকনকি ০, এজাজ ৪, টিকনার ২, বেনেট ০*; নাসুম ৪-২-১০-৪, সাকিব ৪-০-২৫-০, মেহেদি ৪-০-২১-১, মুস্তাফিজ ৩.৩-০-১২-৪, সাইফ ৩-০-১৬-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৭-০)।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com